রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধে জটিলতা দ্রুতই কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার জি খোজিন।
দায়িত্ব নেওয়ার পর রবিবার (১৯ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন রাশিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত।
পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, অতীতেও রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে ছিলো। সহযোগিতার এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধের জটিলতা নিয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, “দ্রুতই এর সমাধান হবে। বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাশিয়া।” এই বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি চালু হলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানান তিনি। বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ভাবনা ১৯৬১ সালে শুরু হলেও ২০০৮ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সক্রিয়ভাবে আলোচনায় আসে।
২০১৩ সালের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে দুই দেশের সরকারের ফলপ্রসূ আলোচনার পর নিশ্চিত হওয়া যায়, রুশ সহযোগিতায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে।
ওই বছরের অক্টোবরেই পাবনার ঈশ্বরদীতে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের চুল্লি ও পানি শীতলকারী ডোমের কনক্রিট ঢালাই কাজ উদ্বোধন করা হয়।
২০১৬ সালে রাশিয়ার ঋণে নেওয়া ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কাজে বিলম্ব হওয়ায় প্রকল্পটি শেষ হতে আরো দুই বছর লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রকল্পটিতে ১ হাজার ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার দিচ্ছে রাশিয়া।