1. skmshamim11@gmail.com : Shamim ahmed : Shamim ahmed
  2. news@uttarabusinessnews.com : UTTARA BUSINESS NEWS : UTTARA BUSINESS NEWS
  3. info@www.uttarabusinessnews.com : UTTARA BUSINESS NEWS :
আবরার হত্যার ফাঁসির আসামি জেলে নেই, ৬ মাস পর জানাজানি - UTTARA BUSINESS NEWS
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ন

আবরার হত্যার ফাঁসির আসামি জেলে নেই, ৬ মাস পর জানাজানি

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি জেল থেকে পালিয়েছেন। গত বছরের ৫ আগস্টের এই ঘটনা জানাজানি হয় ৬ মাসেরও বেশি সময় পর (২৪ ফেব্রুয়ারি)।

কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছু না বললেও আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ‘জেল পালানোর’ তথ্য ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেন।

ফাইয়াজ দাবি করেন, আসামি জেমির আইনজীবী আজ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে না আসায় ‘পালানোর’ তথ্য তাদের জানানো হয়।

ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে ফাইয়াজ প্রশ্ন তোলেন, ফাঁসির আসামি কনডেম সেলে থাকার কথা, পালায় কীভাবে? তিনি লেখেন, ‘‘পালানোর পরও এ তথ্য বাইরে না আসা এটাই প্রমাণ করে, আসামিকে ধরতেও কোনো চেষ্টা করা হয়নি।’’ এ মামলায় পূর্বে থেকেই আরো ৩ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছে বলেও জানান ফাইয়াজ।পোস্টে ওই আসামির নাম-ঠিকানাও দিয়েছেন তিনি। মুনতাসির আল জেমি, পিতা-আব্দুল মজিদ, মাতা-জোসনা বেগম, ঠিকানা: ৫/১ বাউন্ডারি রোড, নতুন বাজার, কোতোয়ালি, ময়মনসিংহ।এদিন বিকেলে আরেকটি পোস্টে ফাইয়াজ জানান, আজ আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিপক্ষের আপিলের শুনানি হাইকোর্টে শেষ হয়েছে। যে কোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ আছে বর্তমানে। আশা করছি, খুবই দ্রুত হাইকোর্ট থেকে রায় আসবে। যদিও এর পরে সুপ্রিমকোর্টে আপিল, রিভিউ এবং সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপসমূহ বাকি থাকবে। তারপরে রায় কার্যকর হবে।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। এরপর ৫ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকতউল্লাহর জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য শুরু হয়।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী পিটিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

এ মামলায় আরো পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়। গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

সোমবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের জন্য নিম্ন আদালতের নথি) এবং এ মামলায় দণ্ডিত আসামিদের দায়ের করা আপিল শুনানি শেষে এটি কিউরিয়া অ্যাডভাইজারি ভল্ট (অর্থাৎ যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে) হিসেবে রেখে দেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমী, নূর মুহাম্মদ আজমী ও রাসেল আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার জুয়েল, লাবনী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে, ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান, আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী ও মোহাম্মদ শিশির মনির।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট