1. skmshamim11@gmail.com : Shamim ahmed : Shamim ahmed
  2. news@uttarabusinessnews.com : UTTARA BUSINESS NEWS : UTTARA BUSINESS NEWS
  3. info@www.uttarabusinessnews.com : UTTARA BUSINESS NEWS :
গর্ভাবস্থায় রোজা রাখার নিয়ম - UTTARA BUSINESS NEWS
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন

গর্ভাবস্থায় রোজা রাখার নিয়ম

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে
pregnant-woman-

রমজান মাসে রোজা রাখা মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় বিধান। তবে গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এটি একটি সংবেদনশীল বিষয়, কারণ মায়ের স্বাস্থ্য ও অনাগত শিশুর বিকাশের ওপর রোজার প্রভাব থাকতে পারে। তাই গর্ভবতী নারীরা রোজা রাখতে পারবেন কিনা, তা তাদের শারীরিক অবস্থা ও ডাক্তারের পরামর্শের ওপর নির্ভর করে।গর্ভবতী নারীরা রোজা রাখার ক্ষেত্রে কোন কোন নিয়ম মেনে চলতে পারেন— এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ডা. মাসুদা পারভীন মিনু।তিনি বলেন, ‘‘গর্ভাবস্থায় নারীর দেহে বিভিন্ন ধরনের শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে। এই সময় পুষ্টির চাহিদা বেড়ে যায়, কারণ মা ও শিশুর উভয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে হয়। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে পারে, যা মাথা ঘোরা, দুর্বলতা ও ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে।’’

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় রোজা রাখলে গর্ভস্থ শিশুর ওজনে প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে যদি মা পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ না করেন। আবার অন্য কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর খাবার ও পর্যাপ্ত পানি গ্রহণের মাধ্যমে অনেক গর্ভবতী নারী নিরাপদে রোজা রাখতে পারেন। তবে এটি নির্ভর করে মায়ের শারীরিক সুস্থতা, গর্ভধারণের সময়কাল ও যেকোনো জটিলতা আছে কিনা, তার ওপর।গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. মাসুদা পারভীন মিনু বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন। তিনি জানান—মা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তস্বল্পতার সমস্যা গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি

আগে গর্ভধারণে জটিলতা হয়েছিল বা গর্ভস্থ শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ে শঙ্কা থাকলে

গরমকালে রোজা রাখলে পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) হওয়ার ঝুঁকি থাকে

যেসব গর্ভবতী নারী রোজা রাখতে চান, তাদের অবশ্যই আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন, রোজা রাখা মা ও শিশুর জন্য নিরাপদ কি না।

রোজা রাখলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—

সেহরি ও ইফতারে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে, যাতে প্রোটিন, ফাইবার ও জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে, যেন পানিশূন্যতা এড়ানো যায়।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন, বিশেষ করে গরমকালে।

যদি মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, পেটে ব্যথা বা শিশুর নড়াচড়া কম অনুভূত হয়, তাহলে রোজা ভেঙে ফেলা উচিত এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

ইসলামি দৃষ্টিকোণ: ইসলামে গর্ভবতী নারী ও মায়েদের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। যদি রোজা রাখা মা বা শিশুর জন্য ক্ষতিকর হয়, তাহলে তারা পরে কাফফারা দিয়ে রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া দিতে পারেন। ইসলাম মায়ের সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দেয়, তাই শরীরের অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়াই শ্রেয়।

গর্ভবতী নারীদের রোজা রাখা বা না রাখার সিদ্ধান্ত তার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। সুস্থ মা ও স্বাভাবিক গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা সম্ভব হতে পারে, তবে জটিলতা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ইসলামও এ বিষয়ে ছাড় দিয়েছে, তাই মা ও শিশুর সুস্থতা সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়া উচিত।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট