1. skmshamim11@gmail.com : Shamim ahmed : Shamim ahmed
  2. news@uttarabusinessnews.com : UTTARA BUSINESS NEWS : UTTARA BUSINESS NEWS
  3. info@www.uttarabusinessnews.com : UTTARA BUSINESS NEWS :
কানাডায় নির্বাচন: জয়ের পথে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি - UTTARA BUSINESS NEWS
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৮ অপরাহ্ন

কানাডায় নির্বাচন: জয়ের পথে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে
কানাডায় নির্বাচন: জয়ের পথে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি

কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি দেশটির ফেডারেল নির্বাচনে জয় পেতে যাচ্ছে।দেশটির পাবলিক ব্রডকাস্টার সিবিসি নিউজের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
সিবিসি নিউজ বলছে, গতকাল ভোটগ্রহণ শেষে এখনও ভোট গণনা চলছে। তাই এখনো পুরোপুরি বলা যাচ্ছে না লিবারেল পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে পারবে কিনা। ৩৪৩টি আসলের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে যেকোনো দলকে ১৭২টি আসন নিশ্চিত করতে হবে। লিবারেলরা এখন পর্যন্ত ১৫৬টি আসন জিতেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সিবিসি জানিয়েছে, হাউজ অব কমন্সে লিবারেলরা সবচেয়ে বড় দল হতে পারে, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১৭২টি আসন থেকেও পিছিয়ে থাকতে পারে। যদি এটি ঘটে তাহলে সম্ভাব্য পরিস্থিতি হলো তারা মার্ক কার্নিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়ে একটি সংখ্যালঘু সরকার গঠন করবে, যেখানে তারা অনাস্থা ভোটে টিকে থাকতে এবং সংসদে আইন পাস করার জন্য অন্যান্য দলের সঙ্গে চুক্তি করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার ক্রমাগত হুমকির মধ্যে দেশটিতে গতকাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কানাডার নাগরিকদের ভোটে দেশটির পার্লামেন্টের ৩৪৩ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১৭২টি আসনের প্রয়োজন পড়বে। কানাডার আনুমানিক ৪ কোটি ১০ লাখ নাগরিকের মধ্যে ভোটার রয়েছেন ২ কোটি ৯০ লাখ। এরই মধ্যে অগ্রিম ভোট প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়েছেন ৭৩ লাখ কানাডীয়।

নির্বাচনের হেভিওয়েট দুই প্রার্থী হলেন লিবারেল পার্টির মার্ক কার্নি এবং কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পইলিয়েভ্রে। মার্ক কার্নে গত মাসে জাস্টিন ট্রুডো সরে দাঁড়ানোর পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের মোকাবিলা করার জন্য তিনিই সবচেয়ে ভালো বিকল্প। কারণ অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পইলিয়েভ্রেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, ট্রুডো নেতৃত্বাধীন লিবারেলদের অধীনে এক দশক ধরে দুর্বল হয়ে পড়েছে অর্থনীতি। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণাত্মক বাণিজ্যনীতির সামনে তা আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।

তবে, আমেরিকার উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশীর প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্রমাগত সমালোচনা ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকারের প্রতি ভোটারদের জনসমর্থন বাড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের অনুমান সত্যি হলে, কানাডা ট্রাম্পবিরোধী একটি সরকার পেতে যাচ্ছে।

ইতিমধ্যেই এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, কানাডা ট্রাম্পের আমেরিকার চেয়ে ইউরোপকে একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বেশি দেখছে। আর এমন পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবেই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অস্বস্তিতে ফেলবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট