1. skmshamim11@gmail.com : Shamim ahmed : Shamim ahmed
  2. news@uttarabusinessnews.com : UTTARA BUSINESS NEWS : UTTARA BUSINESS NEWS
  3. info@www.uttarabusinessnews.com : UTTARA BUSINESS NEWS :
জিম্মিদের মুক্তি না দিলে আবারো যুদ্ধ শুরুর হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর - UTTARA BUSINESS NEWS
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন

জিম্মিদের মুক্তি না দিলে আবারো যুদ্ধ শুরুর হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

শনিবারের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিয়ে যুদ্ধ বিরতি শেষ করে তীব্র লড়ায়ের হঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

হামাসকে সতর্ক করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “শনিবার দুপুরের মধ্যে আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে না দিলে তীব্র লড়াই শুরু হবে।”

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হামাসের ঘোষণার পরই ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ভেতরে ও চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছে এবং এই প্রস্তুতি খুব শিগগিরই সম্পন্ন হবে। যদি শনিবারের মধ্যে হামাস আমাদের জিম্মিদের ফেরত না দেয়, তাহলে অস্ত্রবিরতি শেষ হবে এবং হামাসের চূড়ান্ত পরাজয় না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।”ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, হামাস যদি শনিবারের জন্য নির্ধারিত তিন জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তবে অস্ত্রবিরতি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে একজন মন্ত্রী বলেছেন যে তিনি ‘সবাইকে’ বোঝাতে চেয়েছিলেন।এদিকে, হামাস এর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইসরায়েল ‘যেকোন জটিলতা বা বিলম্বের জন্য দায়ী’।

হামাস আরো দাবি করেন, ইসরায়েল অস্ত্রবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে এবং মানবিক সহায়তা আটকে দিচ্ছে। যদিও ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এর আগে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই সুরে কথা বলেন। ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, “গাজায় আটকে থাকা ‘সব’ জিম্মি শনিবারের মধ্যে ফেরত না দেওয়া হলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করা উচিত। আমি বলব, শনিবার ১২টার মধ্যে তাদের ফেরত দেওয়া উচিত…সবাইকে… ছিটেফোঁটা নয়…দুই, এক বা তিন চার জন নয়।”

তিনি ইসরায়েলের দিক থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বোঝাচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “আপনারা দেখবেন, তারাও দেখবে। হামাসও দেখবে আমি কী বোঝাচ্ছি।”

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে গাজা উপত্যকা দখল করে নেয় ইসরায়েল। ২০০৫ সাল পর্যন্ত সেখানে দেশটির সামরিক উপস্থিতি ছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর সেদিনই গাজায় নির্বিচার হামলা চালায় ইসরায়েল। উপত্যকাটি পুরোপুরি অবরোধ করে দেশটির সামরিক বাহিনী। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চলছে।

বিগত বছরগুলোতে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে জড়িয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। তবে এবারের সংঘাতে যে পরিমাণ রক্তপাত ও ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে, তা নজিরবিহীন। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। আর তখন থেকে চালানো ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট